জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা গণভবন জয় করেছি, এবার আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সংসদ।”
রোববার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক পথসভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণভবনের নিয়ন্ত্রণ। সেটা আমরা অর্জন করেছি। এবার সামনে নির্বাচন। এবার লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সংসদ। তরুণদের বিজয় এবার সংসদে উদ্যাপিত হবে।”
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, “নতুন সংবিধান দেখতে চায় এই প্রজন্ম। আমরা সংস্কার চাই, বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই। আর সেই সঙ্গে চাই নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত।”
পথসভায় নাহিদ বলেন, “আমরা রাজপথে নেমেছিলাম শুধু শেখ হাসিনার পতনের জন্য নয়, বরং একটি সংস্কারভিত্তিক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে। আবু সাঈদের মতো তরুণরা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে। তারা শহীদ হয়েছে এই স্বপ্নের জন্য।”
তিনি স্বীকার করেন, ৫ আগস্টের পর নানা রাজনৈতিক বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের কারণে সংস্কারের পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। “আমাদের ভুল ছিল, সীমাবদ্ধতা ছিল,” বলেন তিনি, “কিন্তু এবার আমরা শপথ নিচ্ছি, সেই ভুল আর করব না। আর কোনো স্বৈরাচারকে সুযোগ দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ‘জুলাই’ আন্দোলনকে কেবল আবেগ বলে খাটো করে দেখে, যারা এই আন্দোলনের সাংবিধানিক ভিত্তি মানতে চায় না, তারা মূলত মুজিববাদের নতুন পাহারাদার। ৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধেই আমরা আবার একত্র হব।”
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহীর রেলগেট এলাকা থেকে শুরু হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রা। এটি নিউমার্কেট, অলকার মোড়, গণকপাড়া, আলুপট্টি হয়ে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভা শেষে নগরের গণকপাড়া এলাকায় দলটির মহানগর কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সংগঠক ইমরান ইমন এবং রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মোবাশ্বের আলী।
জাতীয় নাগরিক পার্টি চলতি বছরের শুরুতে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে। দলটির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হচ্ছে পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে মেধাভিত্তিক নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা।
এফপি/রাজ