চট্টগ্রামের লোহাগাড়া টেন্ডলপাড়া এলাকায় আদালতে বিচারাধীন জমি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুরশিদা বেগম।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মুরশিদা বেগম উপজেলার টেন্ডল পাড়ার দক্ষিণ জব্বার আলী বাড়ীর আব্দুল মন্নানের কন্যা।
সংবাদ সম্মেলনে মুরশিদা বেগম জানান, ১৯৬৬, ৩০৫ দলিলে আরএস দাগ ২৭৫১, ২৭৫১, ২৭৩০ ও ৩৪৩৫ দাগে আমার মা ছকুমতাজ ও বড় মা সালেকা বেগমের নামে মো জকরিয়ার পিতা আলি মিয়া হতে ২০ গন্ডা জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের পর আমরা জমিতে ধীর্ঘদিন চাষাবাদ করে আসছি। উক্ত ক্রয়কৃত জমি হতে আমার বড় মায়ের অংশ ১০ গন্ডা বিক্রি করলেও আমার মায়ের অংশ বিক্রি করিনি। একই দলিল থেকে আমার বড় মায়ের ১০ গন্ডা ভোগ করতে পারলে আমার মায়ের ১০ গন্ডা কেন নয়? আবার বাবার মৃত্যুর পর আমরা অভিভাবকহীনতায় পড়লে জমি বিক্রেতা আলি মিয়ার পরিবার জকরিয়া গং অবৈধভাবে জমি দাবি করলে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। কিন্তু জকরিয়া গং আদালতের বিচারাধীন জায়গায় আইনকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
গত ২১ এপ্রিল দারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে আসলে আমরা উপজেলা প্রশাসন,থানা ও আর্মি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের দখল করতে বারণ করেছেন এবং আর্মি ক্যাম্প থেকে মুঠোফোনে বিচার প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে বলেছেন। কিন্তু জকরিয়া গং আবারো ১৩ মে মধ্যরাতে দারালো অস্ত্র নিয়ে জায়গা দখল করতে আসলে ঘঠনাস্থলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে হাতাহাতি হয়। এমন অবস্থায় আর্মি টহল টিম যাওয়ার পথে ঘঠনা দেখে জকরিয়া গং কে জোরপূর্বক জমি দখলের বারণ করে।
আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, লোহাগাড়া প্রশাসন ও থানার ন্যায়বিচার পেয়ে চিরকৃতজ্ঞ। আমাদের পরিবারে জায়গার ওয়ারিশ ৭ জনের মধ্যে ৬ জনই আমরা মহিলা ১ জন ভাই আছে যিনি ঢাকায় চাকরি করে। আমাদের পরিবারে কোনো পুরুষ না থাকায় জকরিয়া গং আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে বার বার দখল করার চেষ্টা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। গতকয়েকদিন ধরে তারা আবারো অবৈধ দখলের পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় জনসাধারণ যাতে বাধা না দেয় তাই এলাকায় ডিগ্রি পেয়েছে বলে ভূয়া/ভিত্তিহীন/মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। বর্তমানে উক্ত মামলা হাইকোর্টে আরজি সংশোধন বিষয়ক চলমান হাইকোর্ট শেষ হলে তা আবারো জজকোর্টে মূল মামলা এসে কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আমরা বাধ্য হয়ে আপনাদের মাধ্যমে ইউএনও, ওসি, আর্মি কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি- আমার ও আমার পরিবারের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সকল ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/রাজ