চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা বিপুল সংখ্যক বিলাসবহুল গাড়ি অবশেষে নিলামে বিক্রির সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। নানা আইনি জটিলতায় এসব গাড়ি এতদিন বন্দরের শেডে আটকে থাকলেও, এবার সক্রিয় হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। ইতোমধ্যে ১৯৫টি গাড়ির রিট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, বিচারিক জটিলতা দূর হলেই গাড়িগুলো নিলামে তোলা যাবে। এতে সরকার প্রায় ৮০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে, যা এখন একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে ২০টি গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে একমাত্র একটি গাড়িই বিক্রি করা সম্ভব হয়। ফলে কাস্টমস রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বন্দরের জায়গাও অপ্রয়োজনে দখল হয়ে আছে। পাশাপাশি বছর পার হওয়া এসব গাড়ির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে, যা বিক্রিযোগ্যতা হ্রাসের অন্যতম কারণ।
এই বিষয়ে কাস্টমস বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করেন না, আবার নিলাম ঠেকাতেও আইনি পদক্ষেপ নেন। এতে কেবল সময় নয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদও নষ্ট হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম স্পষ্ট করে জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরিত্যক্ত ও বিক্রয়-অযোগ্য গাড়িগুলো ধ্বংস করে বন্দরের শেড খালি করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যদি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়, তাহলে শিগগিরই এইসব আটক গাড়ি নিলামে তুলে রাজস্ব আদায় এবং বন্দর জায়গার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অন্যথায় দিন দিন ভাঙতে থাকা এইসব গাড়ি সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
এফপি/এমআই