ঈদের ছুটির শেষে ঘরমুখো মানুষের ঢল এবং যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে হঠাৎ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন ঘাট এলাকায় দীর্ঘ লাইন হয়ে আছে। যাত্রীরা এই গরমে যানজটে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ চোখে পড়ার মতো।
এসময় অনেক যাত্রীরা রাস্তায় নেমে হেঁটে ঘাটমুখো এগিয়ে যাচ্ছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ফেরির সংখ্যা কম এবং যানবাহনের তুলনায় ফেরির ঘাটে ওঠার সক্ষমতা কম হওয়ায় এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য জানান, “ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন শেখ বলেন, “প্রতিবার ঈদেই একই চিত্র দেখা যায়। দীর্ঘ যানজটে এলাকার মানুষ, দোকানপাট এমনকি জরুরি সেবাও ব্যাহত হয়।”
উল্লেখ্য, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম নৌপথ। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঘাট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন না হলে এই দুর্ভোগ আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মোট ১৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ছোট-বড় সকল ধরনের যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি ফেরিতে যাত্রীরাও নির্বিঘ্নে পার হচ্ছেন।” ঈদের ছুটিতে হঠাৎ করে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়ে গেছে তবে এটি বেশিক্ষণ থাকবে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য।
এফপি/রাজ