কক্সবাজারের চকরিয়ায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রকল্পে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির সময় লুট করা একাধিক মোবাইল, লুটকৃত মাছসহ বিভিন্ন মালামালও।
গত (১২ জুন) বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা। এর পর খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এক কর্মচারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ৩০০ একর বিশিষ্ট এই চিংড়ি ঘের বা মৎস্য প্রকল্পের অবস্থান সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজায়। গত বুধবার ভোররাত আড়াইটার দিকে এই প্রকল্পে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের মারধরে চারজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
পুলিশের কাছে সোপর্দকৃত ডাকাতরা হলেন– চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকার শামসুল আলমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮), একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে আকতার হোসেন (২৭), আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (২৮) ও সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মোহাম্মদ লালুর ছেলে আবুল হাসেম (২৬)।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের খামারে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সাতজনের মধ্য থেকে চারজনকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লুণ্ঠিত কিছু মালামালও। এই ঘটনায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে এবং বাকিদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফপি/রাজ