ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল শুরু হয়েছে। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বুধবার (৪ জুন) মধ্যরাত থেকে এ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজট দেখা গেছে। এতে ঘরমুখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ জানান, 'এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। এখন মহাসড়ক স্বাভাবিক হচ্ছে।'
যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে মোট ১৮টি টোল বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ওপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
যানবাহনের চাপের কারণে যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৪ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৮৪৫টি যানবাহন যমুনা সেতু দিয়ে পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা। অপরদিকে, ঢাকাগামী ২১ হাজার ৪টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা।
যানজটের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকছেন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেতু কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে ঈদের আগের দিনগুলোতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যাত্রাপথে নিরাপত্তা ও স্বস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এফপি/রাজ