বগুড়ার আদমদীঘিতে মতিউর রহমান নামের এক আদম ব্যবসায়ীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে ভোক্তভুগি নওগাঁ জেলার রনাীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান নিজেই বাদি হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ আরো আজ্ঞাত ৬/৭ জনের নামে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তভুগি মতিউর রহমান অন্য ব্যবসার পাশাপাশি বৈধ ভাবে আদম ব্যবসা করে আসছিলেন। পূর্বে তিনি ৪ জনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। বেশ কিছ দিন পূর্বে আদমদীঘি সদরের তালশন গ্রামের হেলাল প্রামানিকের সজিব হোসেন নামের একজনকে সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি আরবে বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরী হওয়ায় সজিব হোসেন তার বাবাকে জানালে সজিবের বাবা হেলাল প্রামানিক মতিউর রহমানকে নানা হুমকি দেয়।
গত রোববার (১৮ মে) বগুড়া মাটিডালি তার মেয়ে মনিকার বাড়ি থেকে দুপুরে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা ট্রেনে উঠে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওই ট্রেনের বগিতে থাকা আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুমনের নেতৃত্বে মাক্স পরিহিত ৬/৭ জন ব্যক্তি মতিউর রহমানের পিছু নেয়। আলতাফনগর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি থামার পর যাত্রী নেমে গেলে ওই ব্যক্তিরা মতিউর রহমানকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে বগিতেই মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে।
এরপর ট্রেনটি নসরতপুর স্টেনের প্লাটফরমে পৌঁছালে ওই ব্যক্তিরা মতিউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। কিন্ত অলৌকিক ভাবে মতিউর রহমান আহত হলেও বেঁচে যান। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে আদমদীঘি ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান মামলা দায়ের নিশ্চিত করে বলেন আসামি গ্রেপ্তার তৎপরতা চলছে।
এফপি/রাজ