জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ছবিলাপুর গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ফলে অবরুদ্ধ এলাকাবাসি রাস্তা নির্মাণের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
২ মে (শুক্রবার) দুপুরে পূর্বছবিলাপুর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগি মজনু মিয়া, তারা মিয়া, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ, মিলন বাজার রোড থেকে পশ্চিম দিকে মফিজ ব্যাপারীর বাড়ি থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই মাদারগঞ্জের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা ছিল। যে রাস্তায় গরু গাড়ি মহিষের গাড়ির সহ শত শত গাড়ি যাতায়াত করত চলাচল করতো হাজারো জনতা। গত ১০-১৫ বছর পূর্বে এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই অবরুদ্ধ পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু চলাচলে রাস্তা খুলে দিতে আশ্বস্ত করা হলেও তা এখনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা অবরুদ্ধই রয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে আসা যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দ জয়নাল আকন্দ খাদেম আলী এবং দোকানদার কালু আকন্দ জানান, রাস্তাটি স্বাধীনতার আগে থেকেই মাদারগঞ্জের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। আমরা ছোট থেকে দেখে আসছি এ রাস্তা দিয়ে গরু গাড়ি মহিষের গাড়ি যাতায়াত করাসহ হাজারও লোকজন চলাফেরা করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত ১০/১৫ বছর আগে প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি, জরুরী ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের চলাচলে রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণ করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে রাস্তা বন্ধকারী নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিতে চালাচলের রাস্তা হলেও যেহেতু ম্যাপের কোন রাস্তা নেই, তাই আমি বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, রাস্তাটি অনেক পুরানো রাস্তা ছিল। কিন্তু জমির মালিক বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে জমির মালিক যেই হোক না কেন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াটা চরম অন্যায়। রাস্তা বন্ধকারীদের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য বারংবার বলা হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. আলমগীর তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এফপি/রাজ