ভোলা সদর উপজেলার হাসপাতাল রোর্ডে (আমতলা মোড়ে) আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে-দৌলতখানের গোলাম কুদ্দুস ও শরীফ নামের দুই নেতা জবর দখল করা জমির উপর জি কে হাউজ ও আল-ইমারাহ নামে ঝুকিপূর্ণ ২টি ৬ তলা ভবন নির্মাণ করে বিক্রি করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,ভোলা জেলার-দৌলতখান উপজেলার গোলাম কুদ্দুস ও শরীফ নামের আওয়ামী লীগের দুই নেতা স্থানীয় ভূমি দস্যুদের মাধ্যমে ২০১৬ সালের দিকে, নবীপুরা মৌজার-২৬৬নং খতিয়ানের-১২৯নং দাগে, হাসপাতাল রোর্ডের আমতলা মোড়ের নিকটে জোরপূর্বক অবৈধ জমির উপর-জি কে হাউজ ও আলইমারাহ, নামে ঝুকিপূর্ণ ৬ তলা দুটি ভবন নির্মাণ করে রুম ভাড়া দেয়াসহ তার পরিবার বসবাস করেন। অবৈধভাবে দলিল সৃজন করে সেই দলিল দিয়ে,আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার সোনালী ব্যাংক থেকে মোটা অংকের লোন গ্রহণ করেন।
আইনজিবী, স্থানীয় সূত্র, খতিয়ান পর্যালোচনায় দেখা ও জমির প্রধান মালিকেরা জানান, ভোলা সদরের নবীপুরা মৌজার এস এ-২৬৬নং খতিয়ানে, ১২৯, ১৩০, ১৩৪, ১৩৫, ১৩৬, ৪৪২ এবং ৪৪৩ নং দাগে, ২০৯ শতাংশ জমির মালিক-ছবুরা খাতুন, ছেমনা খাতু ও ভগবর্তী গং। ছবুরা খাতুন ও ছেমনা খাতুনের-১৯২.৩৪ শতাংশ এবং ভগবর্তী গংদের ১৬.৬৬ শতাংশ। ছবুরা খাতুনের-৯৬ এবং ছেমনা খাতুনের-৯৬ শতাংশ। এস এ খতিয়ানে কোন ভুল হলে সাথে সাথে তা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে, আর যদি ওই খতিয়ান স্বীকার করে জমি বেচা-বিক্রি করে তা হলে ওই খতিয়ান সংশোধনের আর কোন সুযোগ নাই।
ছেমনা খাতুন মৃত্যুর পরে, তার জমির ওয়ারিশ এক ছেলে, এক মেয়ে এবং এক স্বামী। ছেলের অংশ-৪৮, মেয়ে-২৪ এবং স্বামী-২৪ শতাংশ। কিন্তু ছেলে বিক্রি করে-৮২, মেয়ে-২৬ এবং স্বামী-৩২ শতাংশ এবং ছেলের অবৈধ দখলে রয়েছে ১৪ শতাংশের অধিক। ছবুরা খাতুনের-৯৬ শতাংশ বিক্রি করেন অন্য এক গ্রুপের কাছে।
ছেমনা খাতুনের ওয়ারিশ থেকে রাতের আধারে যারা অবৈধ নামজারি, বিএস খতিয়ান দেখে নামমাত্র টাকা দিয়ে, অবৈধ জমি কিনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবন করেছেন, ব্যাংক লোন নিয়েছেন, তারা বিপাকে রয়েছেন। বিএস জরিপের মূল খতিয়ান বের হলে মূল মালিকেরা ল্যান্ড সার্ভে আদালতে ভুয়া বিএস খতিয়ান বাতিলের মামলায় যাবেন। এরকম রয়ছে অরো ৩টি ভবন।
জি কে হাউজের কুদ্দুসের ছেলে জানান, আমরা কারামের কাছ থেকে জমি কিনে ২৮০০ স্কোয়ার ফুটের ৬ তলা ভবন করেছি। ভবনের কোন সমস্যা নাই, টাকার দরকার হওয়ায় জমি ও ভবন বিক্রি করতে চাই।
পৌরসভার প্লানের শর্ত ভঙ্গ করে ঝুকিপূর্ণ ভবন নির্মানের ব্যাপারে আইনবিদেরা জানান, পৌরসভা প্রথমে পরীক্ষা করে শর্তভঙ্গের ব্যাপারে মালিককে নোটিশ এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবে ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারনের ব্যবস্থা করবেন।
এব্যাপারে ভোলা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নুর আলম আজাদ (রাসেল) জানান, পৗরসভার প্লানের বহির্ভূত কোন ভবন নির্মান করা হলে এমন অভিযোগ ও তথ্য পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
এফপি/রাজ