বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাবিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার ২৭ তম দফা অবলম্বনে নির্মিত ‘কৃষি কথা’ নামে নাটিকা কৃষকদের অংশগ্রহণে এই প্রথম ব্যতিক্রম ভাবে চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রম এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সবাই ছিলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক।
এই সুন্দর অনুষ্ঠানমালায় সভাপতিত্ব করেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কচুয়ার বাসিন্দা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।
তারেক জিয়ার বাংলাদেশ সংস্কারের অন্যতম দফা কৃষি সংস্কারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে এই নাটিকা প্রদর্শন হয়। এ নাটকের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকদের বর্তমান চিত্র এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের কৃষিখাতকে আধুনিক ও প্রযুক্তি সম্মৃদ্ধ করা এবং দেশের কৃষিকে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতার মধ্যে কিভাবে আনা যায় নাটকের বিভিন্ন অংশে তা ফুটে উঠে। স্থানীয় কৃষক ও দেশের নাট্যঙ্গণের উল্লেখযোগ্য নাট্যশিল্পীরা নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অংশগ্রহণ করেন। কৃষি কথার পুরো এ নাটিকাটির সার্বিক ব্যবস্থপনা ছিলেন প্রবাসী বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান।
সন্ধ্যার আগমুহূর্তে চমৎকার পরিবেশে এ নাটকটি উপভোগ করেন সাচার এলাকার শত শত কৃষকসহ বিভিন্ন পেশা শ্রেণির লোকজন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, প্রবাসে থাকার কারণে দেশে দীর্ঘদিন আসতে পারি নাই। ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন আমি দেশে আসলাম, তখনই দেখতে পেলাম তারেক জিয়ার রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা। তারমধ্যে ২৭ তম দফায় কৃষি সংস্কার। দেশ গঠনে এই দফা নিয়ে কাজ করতে আমার মধ্যে খুবই আগ্রহ ও উৎসাহ দেয়।
তিনি আরো বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিলো কৃষক হওয়ার। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কৃষক হতে পারিনি। তবে ইচ্ছে আছে আমার দেশের কৃষকদের নিয়ে কিছু একটা করার। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমার ছোট্ট একটি আয়োজন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কৃষকদের নিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন চ্যানেল ২৪ এর হেড অব ডিজিটাল রাজিব খান ও উপস্থাপিকা শাহরিন জাবিন। অনুষ্ঠানে কৃষকরা তাদের প্রকৃত সমস্যাগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন। কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দেন কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন।
এফপি/এমআই