মাগুরার পারলায় মঙ্গলবার রাতে একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, মাদক, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন রকম দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা ও ঠিকাদার নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।
মাগুরা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার পারলা এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের অবস্থান জানতে পেরে গতকাল রাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে ১টি চায়নিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি, ১টি এয়ার গান, এয়ারগানের ২৬৪টি গুলি, ২টি চায়নিজ কুড়াল, ৬টি চাপাতি, ২ বোতল মদ, ১ লাখ ৪৫ হাজার নগদ টাকা ও ১১টি মুঠোফোন ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়।
তবে এ অভিযানকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন আটক হওয়া ফরিদ হাসান খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার বিকেলে শহরের পাল্লা এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন , ‘ফরিদ খানসহ যাদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাগুরার বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার রয়েছেন। তারা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার। অভিযানে যে টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেটা আমাদের ব্যবসায়িক টাকা। যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো ওখানে ছিল না। ওখানে আমাদের ১৬ একর জমির ওপর ফার্ম, যে দেশি অস্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ওই ফার্মের পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে তারা দাবী করেন।’
এফপি/এমআই