ভোলার চরফ্যাশনের চর কুকরি-মুকরিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন কৌশল নিয়ে এই কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল (ইউএনডিপি) এর কারিগরি সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারী) দুপুরে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অভিযোজন কৌশল, পরিবেশগত সংকট মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশনা শারমিনমিথির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য হেমায়েত জাহান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবিদ হাসান, উপজেলা
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিন মাহমুদ, ইউএনএফপি-এর লজিক প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক নুরুল মোমেন সিদ্দিকি, ইউএনডিপি ঢাকা অফিসের ডাটা অ্যানালাইটিক্স অফিসার আহমেদ কবির ও বন বিভাগের কুকরি-মুকরি রেঞ্জ অফিসার আশিস কুমার দে।
কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা জিজেইউএস এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান। এ সময় সংস্থার অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Adaptation Learning Center (ALC) বাংলাদেশকে অভিযোজন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। অংশগ্রণকারীরা এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতে আরও গবেষণা ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় প্রশাাসনের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশ নেয়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে কুকরি-মুকরির জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাপন নিয়ে চিন্তিত এই অঞ্চলের মানুষ। এমন প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কার্যক্রম চরবাসীর জন্য আশীর্বাদ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এফপি/এমআই