আজ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সর্বাধিক প্রশংসিত ও প্রভাবশালী এই ব্যক্তির স্মরণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভক্তরা নানা ধরনের আয়োজন করেছেন।
হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যিক, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে দেশের গল্প বলার ধরনকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন। সাধারণ জীবনের সরলতা, আবেগের সত্যনিষ্ঠা ও কৌতুক নিয়ে তার সিনেমা বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরেছে।
তার লেখা কোনো বড় দৃশ্য বা কৃত্রিম নাটকবাদের ওপর নির্ভর না করে শুধু বাস্তব জীবনের প্রতিফলন হিসেবে বাংলা সাহিত্যে জায়গা করেছে।
তার চলচ্চিত্রে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফুটে উঠেছে, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, যা আগুনের পরশমণি এবং শ্যামল ছায়ার মতো ছবিগুলোতে দেখা যায়। এই চলচ্চিত্রগুলো ভয়, ভালোবাসা, টিকে থাকার সংগ্রাম এবং ঐক্যের মানবিক অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরে। আমার আছে জল এবং ঘেঁটু পুত্র কমলার মতো চলচ্চিত্রে তিনি লোককথা, ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং সামাজিক অন্যায়কে খুঁজেছেন।
প্রায় হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক প্রথার অন্যতম সংরক্ষক তিনি।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার শক্তি প্রতিদিনের বাঙালি জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোকে চলচ্চিত্রে রূপান্তর করেছে। কাজের মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাস,অনুভূতি এবং মানবিকতার প্রতিফলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে গেছে। তার জন্মদিনে বাংলাদেশ কেবল একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাকেই উদযাপন করছেনা, তার ধ্যান-ধারা ও আত্মার ধারাকে স্বরণ করছে।
এফপি/অ