কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ হোসেন ইমাম এর বাসভবনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিতে করে ওই বাসায় আনা হয়। সেখানে তাদের প্রশ্ন দেখানো ও অনুশীলনমূলক পরীক্ষা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে সীমাহীন নিয়োগ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির হয়েছে এই পরীক্ষায়। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আরএমও ও তার বড় ভাই প্রায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীকে রাতভর তাদের বাসায় রাখেন। সকালে দেখি ওই বাসা থেকেই তারা পরীক্ষার হলে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই তাদের প্রশ্নপত্র দেখানো হয়েছে। আমরা পরিশ্রম করে পরীক্ষা দিতে এসেছি এমন অনিয়ম হলে পরীক্ষার কোনো মানে হয় না।
শুনেছি এই চাকরির জন্য ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে। ভেবেছিলাম নতুন সরকারের আমলে দুর্নীতি কমবে কিন্তু বাস্তবে তা আরও বেড়েছে।
এসব অভিযোগ আমলে না নিয়ে শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নিয়োগ পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার কথা বলে জানা যায়। এজন্য বেলা ১২টা থেকে সিভিল সার্জন গেটে অবস্থান নেন ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী পরিক্ষার্থী এবং সাধারন জনতা। পরে তারা সিভিল সার্জন গেটে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয় এবং তালা দিয়ে দেয়। সেই সাথে নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম এবং দোষীদের শাস্তিসহ পূনরায় পরীক্ষার দাবী জানান।
তবে এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা কেউ ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি। এমনকি মোবাইলে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বললেও তারা কথা বলতে চাননি।
উল্লেখ্যঃ গত ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল, রাজস্বখাতভুক্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১১-২০ তম গ্রেডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ০৭ টি ভিন্ন ভিন্ন পদে মোট ১১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ পদ সমূহে নিয়োগের জন্য কুষ্টিয়া শহরের ১১টি কেন্দ্রে গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এফপি/অ