Dhaka, Friday | 24 October 2025
         
English Edition
   
Epaper | Friday | 24 October 2025 | English
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
৪১ বছরেও থামছেন না মেসি, ইন্টার মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তি
পাঁচ ব্যাংক নিয়ে হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের টপ এগ্রি ফুড পাইওনিয়ার পুরস্কার পেলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু
শিরোনাম:

শনিবার নতুন কারাগারে যাচ্ছে ১০০ বন্দী

খুলনায় মেট্রোপালিটন ও জেলা নামে দুটি কারাগার পরিচালনার পরিকল্পনা

প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম  (ভিজিটর : ৬৩)

খুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও বন্দী স্থান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ১০০ বন্দীকে নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে নতুন কারাগারে যাচ্ছে ১০০ বন্দী। খুলনা জেলা কারাগার সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার নতুন কারাগারে বন্দীদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তবে প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে এক-দুই দিন পিছিয়ে যেতে পারে। প্রথম ধাপে আমরা ১০০ বন্দী নতুন আধুনিক কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বন্দীদের নেওয়া হবে।


কারা সূত্র জানায়, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরাতন (বর্তমান) কারাগারেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন করাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।


ওই সূত্রটি জানায়, খুলনায় দুটি কারাগার চলমান রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করা হলে পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।


ওই সূত্রটি আরো জানায়, কার্যক্রম শুরু হলে দুই কারাগারে জেল সুপার ও জেলার আলাদা আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বর্তমান কর্মকর্তারাই দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।


এ বিষয়ে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলে বন্দী চাপ থাকবে না। তিনি বলেন, নতুন কারাগারে এখনও মাটি ভরাট কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়াও ছোট ছোট কাজ রয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই কাজগুলো শেষ হবে। বর্তমানে খুলনার কারাগারে ১৪শ' এর অধিক বন্দী রয়েছে। নতুন কারাকারে কিছু বন্দী সরিয়ে নিলে চাপ কিছুটা কমে যাবে।


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুলনায় দুটি কারাগারে বন্দী রাখা হবে। ভবিষ্যতে পুরাতন (বর্তমান) কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং এখানে খুলনা সিটি করপোরেশন বা মেট্রোপলিটন থানা এলাকার বন্দীদের রাখা হবে। এছাড়া নতুন কারাগারে জেলার বন্দীদের রাখা হবে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরোনো খুলনা কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী আছেন। সেখানে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয়বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ হাজার বন্দী থাকতে পারবেন। তবে আপাতত ২ হাজার বন্দী রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।


এই নতুন কারাগার নির্মাণের প্রকল্প ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৪৪ কোটি টাকা। স্থান নির্ধারণ, জমি অধিগ্রহণসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। এরপর ২০১৭ সালে প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫১ কোটি টাকা এবং কাজ শেষের লক্ষ্য নেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুন। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০২৩ সালে ফের প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে হয় ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সময় বাড়ানো হয় মোট আটবার।


প্রকল্প অফিস থেকে জানা গেছে, নতুন এ কারাগার নির্মাণ হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দীদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্ক শেড থাকছে। একইভাবে বন্দীদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল গ্রন্থাগার, খাবার কক্ষ, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দীদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এ ওয়ার্ডে সাধারণ নারী বন্দী থাকতে পারবেন না। সেখানে শিশুদের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতিচর্চার ব্যবস্থা থাকবে। কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দীদের হস্তশিল্পের কাজের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ক শেড, বিনোদনকেন্দ্র ও নামাজের ঘর থাকবে।


কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। এক শ্রেণির বন্দীদের অন্য শ্রেণির বন্দীদের সঙ্গে মেশার সুযোগ নেই। ভেতরে শুধু প্রাচীরই রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাটি ভরাটকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়াও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।


জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম জানান, কারাগারে ৫২টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কাজ চলমান। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন।


কাজের ধীরগতি সম্পর্কে রাশিদুল বলেন, করোনা মহামারির কারণে কাজ বন্ধ থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে।


এফপি/অআ

সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝