রংপুরের পীরগাছার পশ্চিম ব্রাহ্মনীকুন্ডা গ্রামে মাসুদ রানা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত ইয়াবা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বন্ধুর ইটের আঘাতেখুন হন মাসুদ রানা।
হত্যাকান্ডে এক সপ্তাহের মধ্যে পীরগাছা থানা পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল ঘাতকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুজন দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী দেন। বাকি দুজনকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য দেন রংপুরের সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আসিফা আফরোজ আদরী।
পীরগাছা থানা চত্ত্বরে এক প্রেসব্রিফিং এ পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মাসুদ রানার মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করি। এরপর আমরা সন্দেহ ভাজন হিসেবে মাসুদের দুই বন্ধু রিয়াদ হাসান রকি (১৯) ও গাউসুল আজম হিরন (২৫) কে আটক করা হয়।
এসময় তাদের জিজ্ঞাসা বাদে অসংলগ্ন কথা বলায় তাদের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে জড়িত সকলে নাম বলেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন। পরে অভিযান চালিয়ে হত্যা কান্ডে সহযোগিতা এবংমরদেহ গুম করার সাথে জড়িত থাকায় মূল আসামীরা, মোছা: রনজিনা বেগম (৪০) এবং মোছা: লুফা আক্তার (১৮) কে গ্রেফতারকরা হয়। তাদের ও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা বাদ করা হলে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
ঘটনার বিবরণে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, মাসুদ ঢাকায় থাকতো। সে একটি মামলার হাজিরা দিতে বাড়িতে আসে। এরপর বন্ধু রিয়াদ হাসান রকির সাথে ইয়াবা বিক্রি করতো। এই ইয়াবা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রকি ইট দিয়ে মাসুদের মাথায় আঘাত করে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মরদেহ বস্তায় ভরে এক রাত তাদের শোবার খাটের নিচে রাখা হয়। পরে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি দোকান ঘরে রাখা হয় দুদিন। এতে মরদেহে গন্ধ সৃষ্টিহলে ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে তার বাড়ির অদুরে ধান খেতে ফেলে রাখা হয় মরদেহ। এসময় লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যাকারীরা ঘটনাস্থলে এসে কান্নাকাটি করে এবং জনৈক সৈয়দ আলীনামে একজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল করিম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রেসব্রিফিং কালে পীরগাছা থানারভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/অআ