সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা সম্রাট শিমুলতলা গ্রামের শাজাহান মিয়া (৪০)কে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রিতে নিষেধ করায় মাদক ব্যবসায়ী শাজাহান ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর হামলার চেষ্টা করে।
এ সময় শিমুলতলা গ্রামবাসী ইয়াবা সম্রাট শাজাহান (৪০) ও তার মেয়ের জামাই ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী (২৬) কে আটক করে। এ সময় শাজাকানের সাথে থাকা ৮/১০ জন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পলিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ি তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের হাতে তোলে দেয়। আটককৃত ইয়াবা সম্রাট শাজাহান শিমুলতলা গ্রামের মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে এবং একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাজাহানের আপন মেয়ের জামাই ইউনুছ আলী (২৭)।
এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত-রাত ১ টার সময় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের।
এ সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী শাজাহান ও ইউনুসকে মামলা দিয়ে আদালতে মাধ্যমে জেল কারাগারে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ১২ টার সময় শিমুলতলা গ্রামবাসী মিলে শিমুলতলা গ্রামে থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে পারবে না বলে নিষেধ করে। এ সময় ইয়াবা সম্রাট শাজাহান তার মেয়ের জামাই ইউনুছ আলীসহ ১০/১৫ জনের মাদক ব্যবসায়ীর একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর হামলার চেষ্টা করে। পরে শিমুলতলা গ্রামের লোকজন মিলে ইয়াবা সম্রাট শাজাহান ও তার মেয়ের জামাই ইউনুছ আলীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে তাহিরপুর থানার অধিনস্থ বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হাফিজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী শাজাহান ও ইউনুস আলীকে পুলিশের হাতে তোলে দেয়।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিমুলতলা গ্রামের শাহিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাজাহানসহ ১০/১৫ জনের একটি মাদক কারবারি চক্র শিমুলতলাসহ তাহিরপুর সীমান্তে ইয়াবা ট্যাবলেটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানা ও আদালতে ১৯/১২ টি মাদকের মামলাও রয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্কুল কলেজের ছাত্রসহ বিভিন্ন বয়সের ছেলেপেলে তার বাড়ি আসে ইয়াবা ট্যাবলেট নিতে। যার কারণে আমাদের গ্রামে মা-বোনেরা ঘর থেকে বের হতে পারেনা। আমরা শাজাহানকে নিষিদ্ধ করলে উল্টো মামলা হামলার হুমকি দেয়।
এফপি/রাজ