নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা এবং সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেটিকে ভেঙে ফেলতে হয়েছে।
উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরা খালের উপর সেতুটি ভেঙ্গে ফেলছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। তবে সংস্থাটি কাজ শুরু করার আগেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এ ব্রিজটি ধ্বসে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিস্টান পাড়া হতে মাদ্রাবাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেসার্স ইফতি ইটিসিএলকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। যার চূক্তি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজ দুইটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিরাজুল ইসলাম নিজে কাজ না করে একজন সাব কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে কাজের নিম্নমান এবং সিডিউল মেনে না করার কারনে স্থানীয়রা কাজে বাঁধা দেন।
পরবর্তীতে আরেক সাব ঠিকাদার গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গত সোমবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশটির অপসারণ শুরু করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেতু নির্মাণে অকল্পনীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
ব্রিজে ফাটল ধরার বিষয় জানতে চাইলে সাব কন্ট্রাক্টর পিরোজপুরের খোকন মিয়া বলেন, ঢালাই দিয়ে তারা চলে যাওয়ার পরে কে বা কারা সেন্টারিং খুলে ফেলায় ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খোকন আরও বলেন ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম অগ্রিম টাকা তুলে নেয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রায়সুল ইসলাম জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী না করার কারণে পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙ্গে নতুনভাবে নির্মাণ কাজ করতে হবে। গাডার না লাগিয়ে শুধুমাত্র স্লাব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তাই এটি ভাঙ্গা হচ্ছে। পিরোজপুর এলজিইডি থেকে কাজ না করেই কয়েক হাজার কোটি আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে।
এফপি/রাজ