কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে গণপিটুনির ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হন মা রোকসানা আক্তার রুবি, ছেলে রাসেল মিয়া, মেয়ে জোনাকি এবং গুরুতর আহত আরেক মেয়ে রুমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমাও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “স্থানীয়রা দাবি করছেন, ওই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ অভিযোগ ঘিরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, নিহতদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা সময় মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো তদন্ত বা মামলা চলমান ছিল কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে।
একই পরিবারের একসঙ্গে চারজনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “গণপিটুনি কোনোভাবেই আইনের বিকল্প হতে পারে না। এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং দ্রুত বিচার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এফপি/রাজ