প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের ১৫০টি উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। তবে জামালপুরের প্রত্যন্ত উপজেলা মাদারগঞ্জ এ প্রকল্পের বাইরে রাখায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।
উপজেলাটি নদীভাঙন, দারিদ্র্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বরাবরই উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে। এই উপজেলায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দরিদ্র। জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল। এ প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে নতুন প্রকল্প থেকে মাদারগঞ্জের নাম বাদ যাওয়ায় স্থানীয়রা বেশ হতাশ হয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা আশা করেছিলেন—দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় মাদারগঞ্জ ফিডিং কর্মসূচির আওতায় থাকবে। কিন্তু তালিকায় না থাকায় তারা উদ্বিগ্ন।
উপজেলার নলছিয়া এ.কে. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক পলাশ বলেন, অত্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানরা এই অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাদের বেশিরভাগ অপুষ্টিতে ভুগে। তাই মাদারগঞ্জ কে ফিডিং কর্মসূচীর আওতায় আনা খুবই জরুরী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরল আমিন জানান, বিষয়টি আমি জেলা শিক্ষা অফিসে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে, ফিডিং কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে ঢাকা থেকে। এখানে ফিডিং কর্মসূচি চালু থাকলে অবশ্যই ভালো হতো।
এফপি/এমআই