ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে চাপে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে জেলার আলেম-ওলামাদের নিয়ে আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সামনে এখন একটি কঠিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে জনগণ নিয়ে এসে জোর করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা ন্যায্য পানির হিস্যা দেয় না, বরং আমাদের বর্ডারে পাখির মত মানুষ মারছে।”
তিনি আরও বলেন, “এতদিন এসব করত না, এখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারিয়েছে, হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে—সেই সুযোগেই ভারত এইসব কার্যক্রম শুরু করেছে।”
সরকারের অতীত কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সময়ে সারা দেশে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে। র্যাবের মাধ্যমে মাদ্রাসার এতিম ছেলেদের জঙ্গি সাজিয়ে হাতে লিফলেট ধরিয়ে হত্যা করেছে। এরকম ঘটনা তারা একটি না, বরং হাজারো ঘটিয়েছে।”
শাপলা চত্বরের ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় যেমন হত্যা চালানো হয়েছে, তেমনই শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপরও মেশিনগান দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা রাতের অন্ধকারে।”
তিনি বলেন, “যেসব ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তাদের সেই রক্তের বিনিময়েই আমরা আজকের এই সুযোগ পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমরা একটি সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনূসের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেখানে সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের সময় হিসেবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির কথা উঠে এসেছে। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঠিক নেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ ফিরে পেতে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ জেলার আলেম-ওলামাবৃন্দ।
এফপি/রাজ