রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার রামপুর পাড়ার বাসিন্দা রেবেকা সুলতানা (৪৩) বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্বামীর অবহেলা, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, মামলা-মোকদ্দমা এবং সর্বশেষ উচ্ছেদের চেষ্টায় রেবেকা ও তার চার সন্তানের জীবন আজ অনিশ্চিত।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে নগরীর জুম্মাপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ সব কথা বলেন রেবেকা বেগম।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট এলাকার মরহুম জসীম উদ্দিন ও মরহুমা হাসিমন নেছার ছেলে দুলাল হোসেনের (তিনি পুলিশের এসআই পদে বর্তমানে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন) সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দীর্ঘ সময় সুখে সংসার করেন তাঁরা। নিউ জুম্মা পাড়ায় তারা বসবাস করছিলেন। সেই দাম্পত্য জীবনে চারটি সন্তান জন্ম নেয়।
তবে ২০২১ সালে বড় মেয়ের বিয়ের পর হঠাৎ করেই স্বামী দুলাল হোসেনের আচরণ বদলে যেতে শুরু করে। অনুসন্ধান করে রেবেকা জানতে পারেন, তাদের বাড়ির এক ভাড়াটিয়া ফাতেমা নামের এক নারীর সঙ্গে জসিমের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই বিষয়ে কথা বললে দুলাল রেবেকাকে তালাকের হুমকি দেন এবং সন্তানদের বঞ্চিত করার কথাও জানান।
পরিবারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও দুলাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি ওই নারীকে ছাড়তে পারবেন না। সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে রেবেকা মামলা করতে বাধ্য হন। বর্তমানে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক এবং ভরণপোষণের মামলা বিচারাধীন।
রেবেকা অভিযোগ করেন, গত এপ্রিল মাসে দুলাল মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দেন এবং সর্বশেষ ১৪ মে/২৫ তারিখে জেলা জজ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা করে। এরপর কিছু লোকজন পাঠিয়ে রেবেকা ও তার সন্তানদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনি ও তার সন্তানরা সেই যাত্রায় রক্ষা পান।
রেবেকা সুলতানা বলেন, আমি আর সন্তানরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার স্বামী আমাদের রাস্তায় নামাতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি চাই প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুক।
এদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
সংবাদ সম্মেলনে রেবেকার বড় মেয়ে তাসলিম জান্নাত তামান্নাসহ তিন সন্তান ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যপারে তথ্য জানার জন্য দুলাল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এফপি/রাজ