ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকায় পশু কোরবানি অব্যাহত রয়েছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ তারিখে পশু কোরবানি দেয়ার সুযোগ থাকায়, অনেকেই রবিবার (৮ জুন) কোরবানির জন্য বেছে নিয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় সকাল থেকেই কোরবানির কার্যক্রম চলে। ফজরের নামাজের পর থেকেই অনেকেই প্রস্তুতি নেন। কেউ ঈদের দিনে কসাই না পাওয়ায়, আবার কেউ পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে পেয়ে দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন।
মিরপুর-১১ নম্বরের বাসিন্দা মৃদুল আহমেদ বলেন, “ঈদের দিন কসাই পাইনি, অনেকেই দ্বিগুণ মজুরি চাচ্ছিল। তাই দ্বিতীয় দিনের জন্য অপেক্ষা করেছি।" পল্লবীর বাসিন্দা সিরাজ তারেক জানান, "আমাদের পরিবারে সবাই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ঈদের দিন সবাই ব্যস্ত থাকায় আজ সবাই মিলে কোরবানি দিচ্ছি। একসঙ্গে কোরবানি দেওয়ার আনন্দটাই আলাদা।”
এদিকে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ঈদের প্রথম দিনের কোরবানির বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। আজ ও আগামীকাল (৯ জুন) পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাবেন। এতে বাসিন্দারা স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দসই সময়ে কোরবানি করতে পারছেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে প্রায় ৪০,০০০ টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে। এজন্য দুই সিটিতে মোট ২০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শতাধিক ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, প্রথম দিনেই ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আজকের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে।
মিরপুর-১০ নম্বরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশন বেশ তৎপর। মানুষও অনেক সচেতন হয়েছে। এবার সবাই সিটি করপোরেশনের দেওয়া ব্যাগে বর্জ্য ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখছে।”
সিটি করপোরেশনগুলো জানায়, নাগরিকদের সহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হচ্ছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার লক্ষ্যে একাধিক দল একযোগে কাজ করছে।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা আশা করছেন, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঢাকায় এবারের কোরবানির ঈদ হবে পরিচ্ছন্ন ও নির্বিঘ্ন।
এফপি/রাজ