২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শহীদ মাহফুজুর রহমানের(১৬) লাশ কবর থেকে তুলতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বাধায় লাশ না তুলে ফিরে গেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা।
বুধবার(১৪ মে) বেলা ১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুদ্দোজা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মো. তরিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হরতকিতলা গ্রামে শহিদ মাহফুজের কবরস্থানে পৌছন। সেখানে মাহফুজের পিতা আব্দুল মান্নান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা কবর থেকে লাশ তুলতে বাঁধা দেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয়দের নিকট থেকে লিখিত আপত্তিপত্র নিয়ে ফিরে যান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুদ্দোজা বলেন, মামলাটির তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত মাহফুজের লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শহীদ মাহফুজের পিতাসহ স্থানীয়রা লিখিতভাবে আপত্তি করায় লাশ তোলা হয়নি। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজুর রহমান মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় আওয়ামী সরকারবিরোধী মিছিলে নামলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। ২০ জুলাই শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাওয়া যায় তার মরদেহ। সেখান থেকে তার পিতা আব্দুল মান্নান মাহফুজের মরদেহ বুঝে নিয়ে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাহফুজের পিতা আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৫০ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এফপি/রাজ