অসংখ্য খানাখন্দে ভরপুর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়ক যেন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে গাড়ি। ঝুঁকি আর দুর্ভোগ এ সড়কে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষের নিত্যসঙ্গী।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া জলসুখা (শরীফ উদ্দিন) সড়কের আজমিরীগঞ্জ পৌরসদরের লালমিয়া বাজার হতে বানিয়াচং উপজেলার কুন্ডরপাড় এলাকা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কের এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের।
এতে চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সড়কটিতে চলাচল করছেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলার কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ। বিশেষ করে পৌরসদরের লালমিয়া বাজার থেকে সুজনী খালের উপর নির্মিত সেতু পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের অবস্থা যেন মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচংয়ের শরীফ উদ্দিন সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিকল হচ্ছে যানবাহন। কয়েক দফায় গর্তের ভাঙ্গন মেরামত করা হলেও বিগত বছর খানেক যাবত সড়কটির বিভিন্ন অংশের খানাখন্দ বেড়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টিতে আরও বাড়বে সড়কের ভাঙ্গন। এতে চরম ভোগান্তি আরো বাড়বে হাজারো মানুষের।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে দরপত্র না হওয়ায় সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত করা হয়েছে।
সরজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসদরের লালমিয়া বাজার হতে উপজেলা পরিষদ হয়ে আজমিরীগঞ্জ এম্যালগেমেটেড বীর চরন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতু পর্যন্ত খানাখন্দে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সদর ইউনিয়নের বিরাট-শিবপাশ পয়েন্ট থেকে বিরাট উজানপাড়া, জলসুখার পাটুলীপাড়া অংশ থেকে বানিয়াচং উপজেলার কুন্ডুরপাড় এলাকা পর্যন্ত সড়কটির ২১ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে বেহালদশা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সবধরণের পরিবহন।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পোহাচ্ছি। এই কষ্টের শেষ কোথায়?
সদর ইউনিয়ন ও জলসুখা ইউনিয়নের বাসিন্দা রওশন মিয়া, মাফিজুল মিয়া ও সেন্টু মিয়াসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা তাতে রিকশা বা যেকোন পরিবহনে উঠতেই ভয় হয়। কখন কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি জরুরি মুহুর্তে কোন রোগী নিয়ে জেলা শহরে যেতে হলে অনেক সময় সড়কের এমন দশায় পরিবহন মেলানো দায় হয়ে পড়ে।
সিএনজি অটোরিকশা চালক মুসা মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে বানিয়াচং, নবীগঞ্জ ও জেলা সদরে যাওয়া আসা করতে হয় আমাদের। দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের খানাখন্দে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয় বেশী।
হবিগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জানি মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় দরপত্র আহবান করা হবে। যার কারণে আমরা কোন রকমের সংস্কার কাজ করতে পারছি না।
এফপি/রাজ