বাংলাদেশ সরকারের বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় বড় ধরনের সহায়তা এসেছে ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) থেকে। সংস্থাটি ‘স্ট্রেংথেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রাম’ এর আওতায় বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে, বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সভার ফাঁকে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং ওপেক ফান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ আলখালিফা এই ঋণচুক্তিতে সই করেন।
ইআরডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অর্থ সহায়তা দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও আর্থিক খাত সংস্কারে কাজে লাগানো হবে। ঋণটির সুদের হার ধরা হয়েছে ছয় মাস মেয়াদি ইউরিবর (EURIBOR) প্লাস ১.২০ শতাংশ। উত্তোলন না করা অর্থের ওপর প্রতি বছর ০.২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য। পুরো ঋণের মেয়াদ ১৮ বছর, যার মধ্যে তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে।
বাংলাদেশ ওএফআইডি-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বজায় রেখে আসছে। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অবকাঠামো খাতে। এখন পর্যন্ত ওপেক ফান্ড সরকারি খাতে ৩২টি প্রকল্পে মোট ৬৯৩.৬১ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাতে ৩১০.২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
ওপেক ফান্ড জানিয়েছে, তাদের এই সহায়তা শুধু আর্থিক খাত নয়, প্রশাসনিক দক্ষতা ও নীতিগত স্বচ্ছতাও উন্নত করতে সহায়ক হবে। এটি মূলত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে দেশের বাজেট ভারসাম্য রক্ষা এবং কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এফপি/রাজ