বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার, সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার। আপনি কার জন্য সংস্কার করবেন? জনগণের জন্যই তো। সংস্কারে যদি জনগণের আগ্রহই না থাকে, কার জন্য সংস্কার করবেন, সেই সংস্কার হবে কতিপয় মানুষের জন্য। জনগণের জন্য নয়। জনগণের সম্মতি হয় নির্বাচনের মাধ্যমে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে শ্রমিক কর্মচারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যারা শ্রমজীবী মানুষ, আমরা হালাল উপার্জন করবো। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমার সন্তান যেন বিনা চিকিৎসায় না মারা যায়, শিক্ষার সুব্যবস্থা থাকে। আমি মারা গেলে আমার পরিবার যেন নিঃস্ব না হয়ে যায়। এটা দেশের আইনের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার (সাবেক এমপি), বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়বাদী শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আহবায়ক, কাজী শাহ আলম রাজা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বরেণ্য নেতৃবৃন্দসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর (উত্তর) আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিঃ৫৩৪)-এর সভাপতি এম.এ. বারী। এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/এমআই