মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলা বাজার বানিয়াল এলাকায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ধর্ষক বাবা। গত ২৫ জানুয়ারী মামলাটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় রেকর্ড হলে পালিয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ) সন্ধা ৬টার দিকে ধর্ষক বাবা মুনসুর আহমেদ শেখকে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও স্থাণীয় সুত্রে জানা যায়, বানিয়াল গ্রামের মুনসুর আহমেদ শেখ তার প্রতিবন্ধি ১৫ বছরের মেয়েকে দির্ঘদিন যাবৎ নিজ বসত বাড়িতে ধর্ষণ করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বানিয়াল গ্রামের কবির হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটা প্রতিবন্ধি। ধর্ষক মুনসুর তার স্ত্রী তাদের ঘরের একরুমে একসাথে ঘুমাতো। প্রতিবন্ধি মেয়েটা অপর রুমে ঘুমাতো। কিন্তু মুনসুর তার প্রতিবন্ধি মেয়েকে মাঝে মধ্যেই ধর্ষন করতো। আমার কাছে অনেকবার বিচার দিছে প্রতিবন্ধি মেয়েটি ও তার মা। আমি মুনসুরকে বার বার শুধরাইয়া দিছি কিন্তু ও শুনেনাই। পরে জানুয়ারী মাসে সর্বশেষ ওই মেয়েকে ধর্ষন করলে আমি ওর মাকে মামলা দিতে বলি। প্রতিবন্ধি মেয়ের মা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় জানুয়ারী মাসে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর মুনসুর এলাকা হতে পালিয়ে যায়। পরে আমি আজ খবর পাই ওই আমাদের বাড়ির পাশের একটি এলাকায় কাজ করতেছে। পরে আমি লোকজন নিয়ে ওকে ওই এলাকা হতে ধরে নিয়ে আমার জিম্মায় রেখে পুলিশ খবর দেই । পরে পুলিশ এসে ওকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন ওই প্রতিবন্ধি ধর্ষিতা মেয়ে ছাড়াও মুনসুর এর আরো দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই এস এম রিয়াদুজ্জামান বলেন, মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষিতার বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে ওই আসামীকে বৃহস্পতিবার সন্ধায় আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন মা। মামলাটি গত ২৫ জানুয়ারী মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় রেকর্ড হয়। পরে আসামী দির্ঘদিন পলাতক থাকার পরে তাকে আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এফপি/এমআই