চট্টগ্রামে টানা চার দিন সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এর ফলে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের এক-তৃতীয়াংশ শীতজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও বেশিরভাগই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দিনের বেলায় সূর্যের অনুপস্থিতি এবং রাতের কুয়াশা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং মাসের মাঝামাঝি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবকদের অনেককে সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, শিশুদের পাশাপাশি অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন। আনোয়ারা উপজেলায় সর্বোচ্চ ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসায় স্যালাইন ও নেবুলাইজারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাড়তি শীতের কারণে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এফপি/এমআই