রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তাদের নামে ভুয়া ভ্রমণ বিল তৈরি করে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রেলওয়ের তিনটি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভ্রমণ না করেই বিল-ভাউচার জমা দিয়ে অর্থ উত্তোলন করেছেন। বিভিন্ন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের নামে ভুয়া সফরের কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভ্রমণই সংঘটিত হয়নি।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানের আওতায় বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রধান হিসাব কর্মকর্তার কার্যালয় এবং বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, সরকারি অর্থ তছরুপের এই ঘটনায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। "আমরা বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি এবং অসঙ্গতি পেয়েছি। জব্দ করা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এর আগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের আরেকটি ঘটনা ধরা পড়ে, যা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতির ঘটনাগুলো রেলওয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ করছে।
দুদক জব্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে তদন্ত চলছে।
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এফপি/জিএম