বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে যশোরের কেশবপরে কৃষকের বোরোধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। একমন ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের মূল্য হচ্ছে না। একমন চিকন ধানের মূল্য ১২শ টাকা আর একজন শ্রমিকের মজুরি ১৪শ টাকা থেকে ১৫ টাকা। ধানের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেলেও শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক।
কেশবপুর উপজেলায় বোরো ধান মৌসুমে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এবছর বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হলেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবছর বোরোধান চাষে সার কীটনাশক তুলনামূল কম লাগলেও অনুকূল আবহাওয়ার মাঝে মধ্যে আকাশের বৃষ্টি হচ্ছে। কৃষক স্বল্পমূল্যে বোরো ধানের আবাদ করে খুব খুশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ কম, ধানের বাম্পার ফলন, নতুন ধানের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে কৃষক।
উপজেলায় ধানকাটা শ্রমিকের চাহিদা বেশি হওয়ায় খুলনা জেলার কয়রা পাইকগাছা, কপিলমনি, সাতক্ষীরা জেলার তালা কলারোয়া উপজেলার ধানকাটা শ্রমিকরা কেশবপুর আসছে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভালুকঘর গ্রামের কৃষক হায়দার আলী বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার টাকা, বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫/৬শ টাকা।
উপজেলা জাহানপুর গ্রামের কৃষক বিশিষ্ট দলিল লেখক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, একমন ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের দাম হচ্ছে না। একমন (৪০ কেজি) ধানের মূল্য বর্তমান বাজার দর ১২শ টাকা থেকে ১৩৫০ টাকা। আর একজন শ্রমিকের মূল্য সকাল থেকে দুপুর একটা পযন্ত ১৪শ থেকে ১৬০০ টাকা।
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষকের ধান, যারা আগেভাগে লাগিয়েছিল তারা ধান কেটে পরিস্কার করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে আগামী ১৫ দিনের ভিতরে সকল কৃষকের ধান বাড়িতে যাবে বলে অনেক কৃষক মনে করছেন।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস বলেন, এবছর ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ৮০/৮৫ ভাগ ধান পেকে গেছে এমন কৃষকদের ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার কথা বলা হয়েছে।
এফপি/রাজ