জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারীকে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল বারী সরকার, বজরা তবকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান, সিডিডিএফের পরিচালক লুৎফর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাব রক্ষক সৈয়দুজ্জামান বাবু, অফিস সহকারী মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু নারী জাগরণের পথিকৃৎ নন, তিনি বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামী নারীদের প্রতীক। তাঁর আদর্শ ধারণ করেই আজ সমাজে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য নারী। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চিলমারীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা অনেক নারী নিজের মেধা, পরিশ্রম ও সাহসিকতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনকে এবার ‘অদম্য নারী’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনের জন্য মোছা: নুরজাহান বেগম, সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিতে মোছা: শিরিনা বেগম এবং নির্যাতনের দুঃসহ অতীত পেছনে ফেলে দৃঢ় মনোবল নিয়ে জীবনে নতুন করে দাঁড়িয়ে ওঠার জন্য মোছা: আয়শা বেগম এ সম্মাননা লাভ করেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় নুরজাহান বেগম বলেন,‘এ স্বীকৃতি আমার পরিশ্রমকে আরও শক্তি দেবে। এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগোতে পারব।’
শিরিনা বেগম জানান, সমাজের সেবা করতে পারাই তাঁর সবচেয়ে বড় আনন্দ। আয়শা বেগম বলেন,‘অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছি। আজকের এই সম্মান আমার জীবনের নতুন প্রেরণা।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, নারী নেত্রী ও স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/অ