আজ ১১:২০ ঘটিকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (BG-148) দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা ফ্লাইটে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় অবতরণ করলে বিমানবন্দর গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর কাস্টমস এবং এ্যাভসেক এর বিমান বাহিনীর সদস্যগণ যৌথভাবে উক্ত ফ্লাইটের অভ্যন্তরের সকল যাত্রীদের বিশেষ নজরদারিতে রাখেন। গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তল্লাশী করে ০৪ জন মহিলা যাত্রী, সামিয়া সুলতানা, শামিমা আক্তার, জয়নব বেগম এবং নুসরাত তাদের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত ভাবে রাখা ৩৫ টি আইফোন ১৭ প্র ম্যাক্স, ৫৫ টি আইফোন ফিফটিন এবং ১২ টি গুগল পিক্সেল ফোন সর্বমোট ১০২ টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে উক্ত যাত্রীগণ ফোন সম্পর্কে কোন তথ্য না দিতে পারায় বিমানবন্দর কাস্টমস ৯৮ টি মোবাইল ফোন ডিএম করেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সর্বমোট =১,৭৬,৪০,০০০/= (এক কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা)।
উল্লেখ্য যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাকারবারিরা বিভিন্ন সময় স্বর্ণ, মোবাইল, সিগারেট পাচার করে থাকেন। যেসব বিমান দুবাই শারজাহ থেকে ঢাকায় আগমন করেন সেসব বিমানেই বেশী হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় বিমানবন্দরের কাষ্টমস ও অন্য সংস্থা কর্তৃক এদেরকে চেক দেওয়া হলে চোরাকারবারি তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। দুবাই, শারজাহর যে সব বিমান চট্রগাম হয়ে আসে সেসব বিমানে চোরাকারবারিরা চট্রগাম থেকে তাদের নিজস্ব কিছু লোক ঢাকা আসার জন্য ওঠে এবং বিমানের মধ্যেই কৌশলে স্বর্ণ, মোবইল হস্তান্তর করেন।