কবি ও গীতিকার এনামূল হক পলাশের নতুন আরেকটি গান রিলিজ হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) পলাশের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল (Enamul Haque Palash) থেকে ইএইচপি মিউজিক প্রোডাকশন হাউজের উদ্যোগে ‘ঠিকানা’ শিরোনামের গানটি রিলিজ করা হয়।
আধুনিক ধারার এই গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন সংগীত শিল্পী রিপন চন্দ। সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন বিজন দাস।
শিল্পী রিপন চন্দ বলেন, এনামূল হক পলাশ ভাইয়ের এই লিরিকটি একবার দেখেই গানটি গাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি আমি। এই অসাধারণ গানটির কথা ও সুর আমার এতটা ভালো লেগেছে যে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্টেজ প্রোগ্রামে এই গানটি পরিবেশন করার ইচ্ছা রাখি।
গীতিকার এনামূল হক পলাশ বলেন, এই গানের লিরিকের মাধ্যমে মানুষের আসল ঠিকানা জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। শিল্পী রিপন চন্দ অসাধারণ গেয়েছেন। আধুনিক এই গানটির সুরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গানটির সুরকার ও সঙ্গীতায়োজক বিজন দাস বলেন, এনামূল হক পলাশ মানেই লিরিক সম্রাট। তিনি কি লিখেছেন নিজেও হয়তো বুঝতে পারেন নি। আমি আগ্রহী হয়ে তার লিরিকের সুর করেছি। বাংলা গানের জগতে এই গানটি বহুকাল রাজত্ব করবে বলে আমার বিশ্বাস। ভ্রমণে, গাড়িতে বা বেডরুমে গানটি খুবই জনপ্রিয় হবে। এমন একটা গানের সুর করতে পেরে আমি আনন্দিত।
এর আগে এনামূল হক পলাশের রাত্রির গান, গণতন্ত্রের গান, বাউল জন্ম, যে আমারে ভালোবাসে, আগুনের গান, রশিক হাওয়া, নয়া পানির তিতনা পুটি, শুন্য বোতল, সাদাকালো জীবন, প্যাঁচিয়ে থাকা দড়ি, কেমন করে সাধু হবো, একটি তারেই মুনতাহাতে, আমারে বনবাসে রাইখ্যা বন্ধু, ভালো আমি বাসলাম যারে, ঈদের গান, মন আমার মোচড় মারে, পরানের হাঁস, চাকা সহ অনেক জনপ্রিয় গান মুক্তি পেয়েছে।
কবি এনামূল হক পলাশ বাংলা ভাষার সহজিয়া ধারার একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি, ভাবুক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, শিশু সাহিত্যিক ও গীতিকার। তিনি বামপন্থী বিপ্লবী রাজনৈতিক ধারার একজন কর্মী ছিলেন। তিনি অন্তরাশ্রম নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং একই নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালনা করেন। ২০২৪ সালের জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে তিনি ছিলেন একজন সামনের সারির যোদ্ধা। সম্প্রতি তিনি জনগণের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব নিয়ে কাজ করে একজন আলোচিত ব্যাক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশে জনগণের সংস্কৃতি তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। তার তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তরুণ প্রজন্ম মনে করে। তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য একজন সাংস্কৃতিক আইকন।
এফপি/এমআই