নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার-এসপি মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী ৬৪ জেলার এসপির মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বাদ দিয়ে নতুন সমসংখ্যককে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাকি ৪৯ জনকে বর্তমান জেলায় না রেখে অন্য জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ-কালের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির তদারকিতে গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি এই বৈঠক করে। কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এই কমিটির সদস্যসচিব। এই কমিটি জেলা পুলিশের এসপি, ডিআইজি ও তার ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, গত শনিবার বিকেল ৪টায় সভাটি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় কারা হতে পারেন এসপি—তাঁদের তালিকা ধরে আলোচনা করা হয় বলে জানা গেছে। অবশেষে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে লটারি হয়েছে বলে জানা গেছে। আগে থেকেই বলা হচ্ছিল এবার লটারির মাধ্যমে এসপি নিয়োগ দেওয়া হবে।
সূত্র মতে, ৬৪টি জেলাকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ২৭টি, বি ক্যাটাগরিতে ২৮টি।
৯টি জেলাকে সি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে যে ৬৪ জন এসপি দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বাদ দিয়ে নতুন যে ১৫ জন নিয়োগ পাবেন তাঁদের নিয়ে লটারি করা হয়। লটারিতেই নির্ধারিত হয় কে কোন জেলার এসপি হবেন। এই এসপিরাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
এফপি/অ