দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা দাম কমিয়েছে স্বর্ণের। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকেই এ দাম কার্যকর হবে; শনিবারও একই দাম কার্যকর রয়েছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সর্বসম্মতিক্রমে শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য নিম্নরূপ হারে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। বৃহস্পতিবার প্রতি ভরি বিক্রি হয় ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। নতুন দাম অনুসারে ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা দাম কমেছে।
২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৭ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৭ টাকা। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এ দাম কার্যকর থাকবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
এফপি/অ