কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইউনিব্লক দিয়ে নির্মিত সড়কে বছর না যেতেই দেখা দিয়েছে ধস। এতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় থানাহাট জিসি-রাজারভিটা সড়কের ২ হাজার ৭০ মিটার অংশ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১ আগষ্ট কাজ শুরু এবং কাজ শেষের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ টাকা ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন করছে উলিপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিবেদিতা ট্রেডার্স।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইউনিব্লক দিয়ে নির্মিত সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ব্লক দেবে গেছে ও ফাঁক তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উন্নতমানের ব্লকের পরিবর্তে নিম্নমানের ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কে ব্লক বসানোর আগে সঠিকভাবে বালি ও মাটি ফেলা হয়নি, করা হয়নি প্রয়োজনীয় কম্পেকশন (দৃঢ়করণ)। এছাড়া সড়কের পাশে একাধিক পুকুর থাকলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থায়ী বাঁধ বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে।
অটোরিকশা চালক আমিনুল বলেন,‘সড়ক নির্মাণের আগেও যেমন খারাপ ছিল, এখনো তেমনই। জায়গায় জায়গায় ব্লক উঠে গেছে, এখন অটো চালানোই কষ্টকর।’
স্থানীয় শিক্ষক আবু আক্তার বলেন,‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দ্রুত সংস্কার না করলে এ পথে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিবেদিতা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি রবিচন্দ্র প্রসাদ কুণ্ড বলেন,‘সড়কটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। প্রকল্প পাশের সময় প্যালাসাইডিং বাদ দেয়া হয়, এরফলে এমন ধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফলতি ছিলো না, তারপরও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি মেরামত করে দেবো।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন,‘সড়কের পাশে একাধিক পুকুর এবং বৃষ্টির কারণে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এফপি/অ