দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকার মেয়ে হয়েও টানা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন অভিনেত্রী। তার সব কথা ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এই তারকা।
কেন ঢালিউডে তাকে তুলনামূলক কম দেখা যায়-এই প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেন, তখন বাংলাদেশে আমি মনভরা কাজ পাচ্ছিলাম না। সেই কষ্টের জায়গা থেকে, আর শিল্পের প্রতি আমার টান থেকেই কলকাতায় গিয়েছি। অভিনয় ছাড়া তো আমি কিছুই করিনি বা পারি না- অভিনয় করতেই হতো আমাকে।
তবে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে টিকে থাকা যে সহজ নয়, সেটাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি। জয়ার ভাষায়, ‘যে পরিচালকদের জন্য আমি সব সময় হাজির ছিলাম, তারা আমাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেননি বা করতে পারেননি। বাংলাদেশে একটা সমস্যা, পরিচালকের বান্ধবী না হয় স্ত্রী থাকে। এটা তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়; এসবে আমি যাইনি, যাবও না। এতটা নিবেদিত থাকার পরও এসব কারণে আমি কর্নারড হয়েছি, যা কলকাতায় হয়নি। বাইরের আর্টিস্ট হওয়ার পরও ওরা আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আমাকে ভালো চরিত্র দিয়েছে। আমাকে নিয়ে ভেবেছে এবং আমাকে কেন্দ্র করে গল্প বানিয়েছে।’
নারীকে কেন্দ্র করে সিনেমা নির্মাণে অনীহার কথাও বলেন জয়া। তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশে নারীকে কেন্দ্র করে কাজ করতে ভয় পান অনেক পরিচালক। করলেও এমন কাজে হয় তার বান্ধবীকে নেবেন, না হয় স্ত্রীকে। অথবা মেগাস্টার, সুপারস্টার কাউকে নেবেন। একজন পিওর আর্টিস্টকে নিয়ে বাজি ধরতে রাজি নন তারা। তবে এর বাইরেও অনেক নির্মাতা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অনেক ডায়নামিক পরিচালক আছেন, যারা আমার কাছ থেকে বা আরো গুণী অভিনেতাদের থেকে ভালো কাজ বের করতে পারতেন। কিন্তু তারা করেননি।
সাম্প্রতিক সময়ে জয়া আহসান অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘ফেরেশতে’-তে। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ পরিচালিত এই সিনেমায় তার সহশিল্পী ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুমন ফারুক।
এফপি/অআ