এখনো ঘোষণা হয়নি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন তারিখ। ঘোষণা হয়নি নির্বাচনের তফসিল, চুড়ান্ত হয়নি দলীয় প্রার্থীর নাম। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা রয়েছেন নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায়।
ঝিনাইদজ-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যে দৃশ্যপট দেখা যায়। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঘিরে তৃণমূলে বিভেদ সৃষ্টি রয়েছে যে যাই বলুক দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ফলে দলীয় কোন্দল বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন সাধারণ ভোটারগণ। কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন গঠিত।
আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ভোটের মাঠে নেই, ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। ভোটাররা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এমন সমীকরণ সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দল দুটি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ জন নেতা মাঠে রয়েছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, উন-নব্বইয়ের উপজেলা ছাত্রনেতা বর্তমানে কেন্দ্রী বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল,কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক জাসাস নেতা মনির খান,কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান ।আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দল,বলয় ভিক্তিত রাজনীতি,এবং নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্ধে বিভক্তি অনেক পুরনো। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে এই বিভাজন আরও প্রকট হয়।
বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বলায়ও অনুসারীদের নিয়ে আলাদা আলাদা গনসংযোগ চলছে।সরেজমিন ঘুরে ও দলীয় নেতা কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সর্বমহলে পরিচিত হওয়া সাধারণ ভোটাদের মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিরোধী শিবিরে তাকে নিয়ে এক রকম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
তারা আরও বলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল যদি ঝিনাইদহ ৩ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী হয় তাহলে অভ্যন্তরীন কোন্দল,বলয় ভিক্তিতে রাজনীতি ও বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ হবে এবং বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি আবারো বিএনপির দখলে আসবে।
উল্লেখ্যঃ ঝিনাইদহ-৩ আসনে ১৯৯১ থেক ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাষ্টার জয়ী হন। কিন্তু ২০০৮ সালে তৃতীয় অবস্থানে চলে যান। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শফিকুল আজম খান চঞ্চল জয়ী হন,জামায়াতের মতিয়ার রহমান দ্বিতীয় হয়।
ঝিনাইদহ-৩ আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত হলেও বর্তমানে বিভাজনের কারণে আসনটি কার দখলে যাবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে।
এফপি/রাজ