চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীন অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা ৩৮ জনকে আসামি করলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও একজনকে যুক্ত করে মোট ৩৯ জনকে আসামি করা হয়। প্রধান আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ বর্তমানে ২০ জন গ্রেপ্তার এবং ১৯ জন পলাতক রয়েছেন। আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জনাকীর্ণ পরিবেশ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়নি। তারা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। তবে নিহত আইনজীবীর বাবা জামাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় তিনজন এবং তদন্তে পাওয়া সুকান্ত দত্ত নামের একজনকে অব্যাহতির প্রার্থনা করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আদালত সুকান্ত দত্তকে চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখেন। তিনি সিএমপির অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতিসহ অন্তত আট মামলার আসামি বলেও উল্লেখ করেন।
২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা জানান, “রিপন দাস আলিফের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে কোপ দেন, চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে আঘাত করেন এবং আরও অনেকে লাঠি, ইট, বাটাম ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যায় অংশ নেয়।”
তদন্তে মোট ৪২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩৯ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে, গ্রেপ্তার ২০ জন ও পলাতক ১৯ জন। তিনজনকে (গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুর মেথর) অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
এফপি/রাজ