নেত্রকোনার বারহাট্টায় কংস নদের ভাঙন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন এক বিএনপি নেতা। এলাকাবাসী বালুভর্তি বাল্কহেডটি আটক করে প্রশাসনে খবর দেয়। পরে বাল্কহেড জব্দ করে এর চালককে জব্দ করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। তবে অভিযান টের পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই বিএনপি নেতা।
জরিমানা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাল্কহেডের চালক রইছ উদ্দিন বলেন, সাহতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজু ভাইয়ের কথায় আমি বালু উত্তোলন করতে এসেছি। এখন বিপদের সময় আমাকে একা রেখে মাজু ভাই চলে গেছেন।
রোববার (২০ জুলাই) উপজেলার সাহতা এলাকায় কংস নদে ওই বালুভর্তি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম মাজু মিয়া। তিনি উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে কংস নদ থেকে অবৈধভাবেই বালু উত্তোলন করছিলেন বিএনপি নেতা মাজু। কাছেই একটি নির্মাণাধীন পাইলট প্রকল্পে অবৈধভাবে উত্তোলন করা এসব বালু সরবরাহ করছিলেন তিনি। বালু উত্তোলনের পাশেই কংস নদে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে পাকা সড়ক ধসে যাচ্ছে নদে। ভাঙন উপেক্ষা করেই তিনি নদ থেকে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে প্রকল্পে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার সকালে বালুভর্তি বাল্কহেড আটক করে প্রশাসনে খবর দেয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ গিয়ে বাল্কহেডের চালক রইছ উদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে অভিযান টের পেয়ে বিএনপি নেতা মাজু গা ঢাকা দেন। খবর দেওয়া হলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি।
এ বিষয়ে জানতে সাহতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজুর মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ বলেন, কংস নদ থেকে অবৈধভাবেই বালু উত্তোলনের দায়ে চালক রইছ উদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না বলে তার থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে- মাজু নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করাচ্ছিলেন। কিন্তু খবর দেওয়া হলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। যেহেতু রইছ উদ্দিনকে বালু উত্তোলনের সময় পাওয়া গেছে এবং তিনি দায় স্বীকারও করেছেন, তাই তাকে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বালু উত্তোলন করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ