গত কয়েকদিনের তীব্র গরম ও উচ্চ আর্দ্রতার পর সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে কিছুটা কমতে পারে চলমান তাপপ্রবাহ।
রোববার দেশের অন্তত ২০টি জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। রাজশাহী, রংপুর, সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় দিনভর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়। সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সঙ্গে বাতাসে ছিল অতিরিক্ত আর্দ্রতা, যার ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কিছুটা বাড়ায় আজ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, “বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে তাপপ্রবাহও কমে আসবে। তবে আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরম কিছুটা থাকবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫১টি আবহাওয়া স্টেশনের মধ্যে শনিবার ২৮টি স্টেশন ছিল বৃষ্টিহীন। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ফেনীতে-৮ জুলাই সেখানে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এতে শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও গ্রামীণ এলাকাগুলোর বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালের স্বাভাবিক ছন্দে বাতাসে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকছে, অথচ বৃষ্টি অনিয়মিত-এই দুইয়ের কারণে দেশে তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। আজ থেকে সপ্তাহজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আংশিক স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ ও বজ্রসহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
জনসাধারণকে প্রচণ্ড গরম ও হঠাৎ বৃষ্টির মধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এফপি/রাজ