বরগুনা উপকূলীয় এলাকায় গত তিনদিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে জেলার নিম্নাঞ্চল গুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। খেত-খামারে পানি জমে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এখনও থামেনি। মাঝে মাঝে থেমে গেলেও আবারও ভারি বর্ষণ শুরু হচ্ছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়ক ও ঘরবাড়ি জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরগুনা সদর, আমতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও তালতলী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বৃষ্টিপাত ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষ করে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী উপজেলার কিছু কিছু স্থানে মাছের ঘের সমপরিমাণ পানি জমে গেছে বলে জানা গেছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয় জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা মো. মাওলা, মো. রাসেল, সবুজ মৃধা, সেলিম মিয়া সহ অনেকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বেশ কিছু দিন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে। আমন ধানের চারা নিচে চলে যাচ্ছে, কৃষকের চিন্তা বাড়ছে।
তারা আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকায় মাটির সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, ফলে পণ্য পরিবহনও ব্যাহত হচ্ছে। অন্য দিকে তো ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রয়েই গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একইসাথে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফপি/এমআই