চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একই রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল বাড়ির সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়ি থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে জানাতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (২৭মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর দুই ছেলে আতিয়ার রহমান (৪২) ও আনোয়ার হোসেন (৫০)র বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
রাতেই দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাড়ির পরিদর্শন করেন। এসময় বাড়ির প্রায় ৮০ গজ দুর পিচ সড়কের উপর থেকে ৩টি লাল স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা/ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। দামুড়হুদা থানা পুলিশসহ উদ্ধোতন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার আনোয়ার হোসেন ও আতিয়ার রহমান জানায়, ওই দিন রাত ১টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল প্রাচীর টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। প্রথমে বাড়ির ভিতরে বড় ভাই আতিয়ার রহমানের ঘরে মুখোশ পরিহিত ৫/৬ জন প্রবেশ করে। তারা আতিয়ারসহ তার বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্র, ধারালো হাসুয়া তাদের গলাই ধরে তাদের চোখ ও হাত বেধে ঘরে থাকা ৫২ হাজার নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে। পরে পাশের বাড়ির ভিতরে তাকে সাথে নিয়ে তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের ঘরের দরজায় গিয়ে তাকে দিয়ে তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন কে ডাকায়। আনোয়ার হোসেন ঘরের দরজা খুললে আরো ৫/৬ জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত তার ও তার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র হাসুয়া ধরে তাদেরও চোঁখ মুখ বেধে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল, চেইন আংটি নিয়ে বাড়ীর মেইন গেট খুলে চলে যায়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই ডাকাতি তান্ডব চলে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা সারে ১১টার দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা ডিবির ওসি মশিউর রহমান, ওসি সাইবার ক্রাইম আনিছুর রহমান, এস আই মুহিত হাসান, এস আই রমেন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, লাল টেপ মোড়ানো ৩ টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখোনো কোন মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযানে কাজ করছে পুলিশ।
এফপি/রাজ