গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো দ্রুত কার্যকর করতে চাই। এজন্য আমি চাইবো, কমিশন আশু করণীয় সুপারিশগুলো আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।
তিনি কমিশনের কাজকে "অমূল্য" হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ পড়তে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার সংকট সম্পর্কে কমিশনের তথ্য জানার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন, সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার হাতে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা, এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া দেশের গণমাধ্যম খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন এবং নীতিমালার সংস্কারের বিষয়েও সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
এফপি/এমআই