Dhaka, Friday | 9 May 2025
         
English Edition
   
Epaper | Friday | 9 May 2025 | English
চীনা বিমান দিয়ে ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান: রয়টার্স
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আমাদের বিষয় নয়: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাক সংঘাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এলএনজি আমদানিতে বাজেট ভর্তুকি সত্ত্বেও ১১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি
শিরোনাম:

আছিয়ার বড় বোন হামিদাকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেনা মা

প্রকাশ: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম  (ভিজিটর : ৭০)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের আট বছরের শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার তার বড় মেয়ে হামিদা খাতুনকে আর শশুর বাড়িতে যেতে দেবেন না। এ ব্যাপারে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সবাই একমত হয়েছেন। হামিদার স্বামী ধর্ষক হিটু শেখের কারণে এক মেয়েকে হারিয়ে তিনি শোকের সাগরে ভাসছেন। এখন বড় মেয়েকে হারাতে চান না।

নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য-সহযোগিতা এলেও মনের মধ্যে তার শান্তি নেই আয়েশার। দুইদিন আগে তার প্রতিবন্ধী স্বামী ফেরদৌস শেখকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বড় মেয়ে হামিদা ও ছোট দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখন বাড়িতে দিন কাটছে তার।

হামিদার মায়ের বাড়ি উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে। শনিবার দুপুরে সরেজমিন বাড়িতে দেখা যায়, এখনও তাদের শোক কাটেনি। কথা প্রসঙ্গে আছিয়ার মা জানান, এসএসসির গণ্ডি পার হওয়ার আগেই বড় মেয়ে হামিদাকে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। মেজ মেয়ে হাবিবা খাতুন জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো আছিয়া। আর আল-আমিন নামে দেড় বছরের ছেলে রয়েছে।

তিনি জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি স্বামী ফেরদৌস শেখ মানসিক প্রতিবন্ধী। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। এক সময় উপার্জনের ভ্যানটিও চুরি হয়ে যায়। পরে এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবারও ভ্যান কেনেন। তবে নিজের চিকিৎসার জন্য সেই ভ্যানটি বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন লাখ টাকা লোন নেন। এ টাকা হামিদার বিয়েসহ ও সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। বাড়িতে বসবাসের মাত্র ৭ শতক জমিই তাদের সম্বল। বসতঘরটিও সরকারের দেওয়া।

গত ৬ মার্চ বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আছিয়া। আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত ১৩ মার্চ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সে মারা যায়। ঘটনার পর থেকেই আরও অসহায় হয়ে পড়ে শিশুটির পরিবার। আছিয়ার মা আর্তনাদ করে বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারলাম না। যারা আমার সন্তানকে কষ্ট দিয়ে মেরেছে আমি তাদের তাদের ফাঁসি চাই।’

মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম ও শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখি ব্যানার্জি সরকারিভাবে সবসময় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। টাকা-পয়সাও দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও  জামা-কাপড়, খাদ্যসামগ্রীসহ উপহার এসেছে। জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সহায়তা পাঠিয়েছেন।

এফপি/এমআই
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝