শিরোনাম: |
এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থার কারণে আইফোন বিক্রির মন্দাভাব কাটিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৩.৮৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারমূল্যে অবস্থান করছে এবং ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক মাইলফলকের খুব কাছাকাছি।
নভেম্বরের শুরু থেকে অ্যাপলের শেয়ার মূল্য প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা কোম্পানির বাজারমূল্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে। এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন আইফোন আপগ্রেডের প্রত্যাশা, যা ‘সুপারসাইকেল’ নামে পরিচিত।
অ্যাপল ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া এবং মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এর আগে, কোম্পানিটি বিভিন্ন সময় এক, দুই এবং তিন ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের মাইলফলক অর্জন করেছিল। যদিও অ্যাপলকে পিলকে এআই কৌশল গ্রহণে কিছুটা ধীরগতি নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে, তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি, যেমন ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, তাদের ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে শুরু করেছে। এর ফলে বাজারে প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সালে আইফোনের চাহিদা পুনরুদ্ধার হতে পারে। অ্যাপলের শীর্ষস্থানীয় পণ্যগুলোর মধ্যে এআই ফিচার ও জিওগ্রাফিক উপস্থিতি বাড়ানো হলে আইফোনের চাহিদায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যাপল বর্তমানে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের প্রধান স্টক মার্কেটগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্যের চেয়েও বড়। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ২০২৫ সালে কোম্পানির আয় বৃদ্ধি পাবে এবং এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়ে যাবে।
এফপি/অআ