শিরোনাম: |
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঘবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী থাকা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাঘবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের একটি সরকারি ল্যাপটপ, ওয়াইফাই মেশিন ,পানি পাম্পের মোটর, রাইস কুকার, আলমারিতে থাকা ৯০ হাজার টাকা, ড্রয়ারে থাকা ৯১ হাজার টাকা সর্বমোট টাকার পরিমান ১,৮১,০০০/- হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় । নৈশ প্রহরী আয়েশ আলী প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে বলে যে স্কুলের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়ে গেছে। চুরির খবর শুনে প্রধান শিক্ষক তৎক্ষণাৎ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন।
অফিস কক্ষে ঢুকতে চাইলে নৈশ প্রহরী আয়েশ আলী বাধা প্রদান করে বলেন যে, পুলিশ তদন্ত ছাড়া এ ঘরে প্রবেশ করা যাবে না । প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা তালা খুলতে বললে তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন । অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় চুরি হওয়া সব জিনিসপত্র সেখানে আছে। তবে প্রবেশের পরে আলমারি ও ড্রয়ারে থাকা টাকার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পাঁচজনের নামে প্রধান শিক্ষক চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ কৃতরা হলেন, ১.আব্দুল কাদের ২. সাব্বির ওরফে সাকা ৩. নজু ৪. জামাল ৫. আয়েশ আলী (নৈশ্য প্রহরী)।
রাঘবপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র রায় বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য অভিযোগকৃত চারজন নৈশ্য প্রহরীর দ্বারা চুরির ঘটনাটি ঘটায়। তিনি আরো বলেন , আমাকে ফাঁসানোর জন্য চুরি হওয়া মালামাল আমার অফিস কক্ষে রেখে আমাকে খবর দিতে যায়।
রাণীশংকৈল থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরশেদুল হক বলেন, চুরির অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/অআ