পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমমের মেয়ে ফাতেমা তৌফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগে ভর্তির পর মাইগ্রেশনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০ এবং ফলাফল মেধাক্রম ছিলো ৩২৭৪৩। তবে ওই অনুষদে কোটা ব্যাতিত মেধাতালিকার সর্বশেষ ৫০৩৫ সিরিয়াল পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে যার প্রাপ্ত নম্বর ৪০, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে ওমর ফারুক ফয়সাল ও ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে রাইসুল ইসলাম ইমন। চলতি বছর পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হলো ২১। তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী কোটায় ৬ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৬ জন, বিকেএসপি (খেলোয়াড়) ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ৫ জন, পোষ্য এবং হরিজন ৩ জন।
গত বছর কোটা নিরসনে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। পরে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। কিন্তু তারপরেও কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে উপাচার্য নিজ মেয়েকে কোটায় ভর্তি করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, পোষ্য কোটা হলো সবচেয়ে বড় অযোক্তিক কোটা। একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে না পেরে কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তি হয় তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই এই অযোক্তিক কোটা বাতিল করা হোক এবং যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে শর্ত পূরন করেই কোটার সুবিধা পেয়েছে। এখানে নিয়মের বাহিরে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।