গাজীপুরে টঙ্গীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে কামরুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাব্বির নামে এক ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সাথে জড়িত এক নারীকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
নিহত কামরুল টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৩নং ব্লকের দুলাল মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত নারী আসামির নাম সুলতানা বেগম (৩০)। তিনি আসামি সাব্বিরের স্ত্রী। আসামি সাব্বির ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে টঙ্গী দত্তপাড়া দিঘীর পাড় দারুল আহসান মাদানিয়া মাদ্রাসার সামনে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির (৩১) ও সুলতানা বেগম (৩০) পূর্ব শত্রুতার জেরে কামরুলের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সাব্বিরের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার (ছুরি) দিয়ে কামরুলের উপর আতর্কিত হামলা করে সে। এসময় সুলতানা রড দিয়ে কামরুলের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় মাটিতে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকা জুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে স্থানীয়দের দাবী পরকিয়া প্রেমের সূত্র ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম জানান, এঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এফপি/রাজ